
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের বাসিন্দা, বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস ডিস্ট্রিউবিউটার মোঃ আবু হানিফের ১২৬ টি গ্যাসের বোতল ও নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৩ জুন মঙ্গলবার শ্যামগ্রাম পশ্চিমপাড়া তারু মিয়ার গ্যাসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চ্যলকর এ ঘটনায় প্রতিকার বা সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে ভুক্তিভোগী ব্যবসায়ী মোঃ আবু হানিফ অভিযুক্ত মোঃ শাহ জাহান সিরাজকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ৮ আসামী শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজেহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী, বিবাদীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়িক মতবিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন অভিযুক্ত মোঃ শাহ জাহান সিরাজের নেতৃত্বে তার লোকজন শ্যামগ্রাম পশ্চিমপাড়া তারু মিয়ার গ্যাসের দোকানের সামনে থেকে মোঃ আবু হানিফের স্টাফদের মারধর করে ১২৬ টি গ্যাসের বোতল, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ চৌত্রিশ হাজার টাকা ও নগদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং এব্যাপারে অভিযুক্তরা মামলা করলে হত্যা করে লাশ গুম করে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ আবু হানিফ বলেন, শাহ জাহান সিরাজ দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিকভাবে পাম্প থেকে কমদামে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে সরবরাহ করে আসছিলো, বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি তাকে কয়েকবার বাধাঁ দিলে তিনি ভবিষ্যতে আর এমন করবে না বলে অঙ্গীকার করেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার তিনি আবার একই পন্থায় পাম্প থেকে গ্যাস ভরে নকল গ্যাস সরবরাহ করলে আমার স্টাফরা রাস্তায় তার গাড়ি আটকে দিলে, তিনি তার লোকজন পাঠিয়ে আমার স্টাফদের মারধর করে আমার প্রায় দেড়শো গ্যাসের বোতল ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, এখন উল্টো তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা কাউছার আলমের প্রভাবে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে থানায় এব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এমতাবস্থায় আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ শাহ জাহান সিরাজ মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আবু হানিয়ের কাছে ১২ লাখ টাকা পাই। সে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মালও দিচ্ছে না এবং টাকাটাও ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করছে। তাই আমি টাকার বদলে তার থেকে মাল আনছি, ছিনতাই করার প্রশ্নই আসেনা।
এব্যাপরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিল্পব কুমার সিংহ বলেন- আমরা কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেও আসামীদের না পেয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনা। আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন- মামলাটি তদন্ত হয়েছে, ঘটনা সত্য, আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।