ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি নিয়ে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার নবীনগরে জোড়া খুন: হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন নবীনগরে জোড়া খুন: হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪ আসনের বিএনপি’র সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী’র নাম ঘোষণা নবীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে একাধিক আসামি গ্রেপ্তার কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নবীনগরে কৃষকদলের বিশাল কৃষক সমাবেশ  নবীনগরে রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো একজনের মৃত্যু  নবীনগর বড় বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকানের মালামাল পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি অর্ধকোটি টাকারও বেশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কাপড় বিক্রেতা হত্যা মামলায় নবীনগরের যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান ঢাকাই গ্রেপ্তার নবীনগরে গুলিবিদ্ধ কুখ্যাত মোন্নাফ ডাকাতের ছেলে শিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com

নবীনগরে জোড়া খুন: হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মিঠু সূত্রধর পলাশ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গণি শাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলা ও গোলাগুলিতে শিপন মিয়া এবং হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, ৫ই নভেম্বর বুধবার, নূরজাহানপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়িকান্দি গণি শাহ্ মাজরের মাঠে  মানববন্ধন করেছেন এলাকার শত শত মানুষ।
​এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারের একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন নূরজাহানপুরের বাসিন্দা শিপন মিয়া (মন্নাফ ডাকাতের ছেলে)।
​ঠিক সেই সময় ইমরান মাস্টার-এর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আচমকা হোটেলটিতে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে প্রবেশ করে। এলোপাথাড়ি গুলিতে শিপন মিয়া এবং হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপন মিয়াকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। রাতভর চিকিৎসার পরও ২ নভেম্বর (রবিবার) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন শিপন। অন্যদিকে, হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনও ২৪ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ৩ নভেম্বর ঢাকা একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
​নিহত শিপন মিয়া ও ইয়াছিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে এর প্রতিবাদে এবং খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে নূরজাহানপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
​এলাকাবাসীর স্পষ্ট দাবি—শিপন মিয়া এবং ইয়াছিনের হত্যাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে। তাদের অভিযোগ, এই হামলায় ইমরান মাস্টারের নেতৃত্বে কালাম, রিফাত, রুবেল, সোহাগ, আরাফাত ও আব্বাস নামক সন্ত্রাসীরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
​নিহত শিপন মিয়ার মা আনোয়ার বেগম জানান, “ইমরান মাস্টারের নেতৃত্বে কালাম, রিফাত, রুবেল, সোহাগ, আরাফাত ও আব্বাস আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ৪ নভেম্বর  নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি এবং এই হামলার সাপোর্ট দিয়েছে এসপি বিল্লাল। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এই খুনিদের ফাঁসি চাই আমি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় কর্মরত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন স্টার টিভিকে জানান, তিনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
​জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান অভিযুক্ত ইমরান মাস্টারকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ির বাউন্ডারি গেটে তালা ঝুলতে দেখা গেছে এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
​উপজেলাবাসী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নবীনগর থানার ওসি শাহিনূর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এঘটনায়  জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি নিয়ে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার

নবীনগরে জোড়া খুন: হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:৫২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
মিঠু সূত্রধর পলাশ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গণি শাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলা ও গোলাগুলিতে শিপন মিয়া এবং হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, ৫ই নভেম্বর বুধবার, নূরজাহানপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়িকান্দি গণি শাহ্ মাজরের মাঠে  মানববন্ধন করেছেন এলাকার শত শত মানুষ।
​এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন বাজারের একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন নূরজাহানপুরের বাসিন্দা শিপন মিয়া (মন্নাফ ডাকাতের ছেলে)।
​ঠিক সেই সময় ইমরান মাস্টার-এর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আচমকা হোটেলটিতে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে প্রবেশ করে। এলোপাথাড়ি গুলিতে শিপন মিয়া এবং হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপন মিয়াকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। রাতভর চিকিৎসার পরও ২ নভেম্বর (রবিবার) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন শিপন। অন্যদিকে, হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনও ২৪ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ৩ নভেম্বর ঢাকা একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
​নিহত শিপন মিয়া ও ইয়াছিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে এর প্রতিবাদে এবং খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে নূরজাহানপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
​এলাকাবাসীর স্পষ্ট দাবি—শিপন মিয়া এবং ইয়াছিনের হত্যাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে। তাদের অভিযোগ, এই হামলায় ইমরান মাস্টারের নেতৃত্বে কালাম, রিফাত, রুবেল, সোহাগ, আরাফাত ও আব্বাস নামক সন্ত্রাসীরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
​নিহত শিপন মিয়ার মা আনোয়ার বেগম জানান, “ইমরান মাস্টারের নেতৃত্বে কালাম, রিফাত, রুবেল, সোহাগ, আরাফাত ও আব্বাস আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ৪ নভেম্বর  নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি এবং এই হামলার সাপোর্ট দিয়েছে এসপি বিল্লাল। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এই খুনিদের ফাঁসি চাই আমি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় কর্মরত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন স্টার টিভিকে জানান, তিনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
​জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে প্রধান অভিযুক্ত ইমরান মাস্টারকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ির বাউন্ডারি গেটে তালা ঝুলতে দেখা গেছে এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
​উপজেলাবাসী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নবীনগর থানার ওসি শাহিনূর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এঘটনায়  জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।