ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেরকুটা লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে মিনিবার ফুটবল লক্ষ টাকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত নবীনগরে ৩১ দফা দাবির পক্ষে এম এ মান্নানের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  কুড়িঘর লাখ টাকার খেলায় নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান নবীনগর শিবপুর বাজারে কে এম. মামুন অর রশিদের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা, জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় নবীনগর শিবপুর বাজারে এডভোকেট এম এ মান্নানের গণসংযোগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা, জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় নবীনগরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তা দখলের অভিযোগ, কবরস্থানে যাতায়াত বন্ধ ‎নবীনগরে ‘আমিও পারবো’ কর্মশালা উদ্বোধন নবীনগরে রাজিব ভূইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির অফিস উদ্বোধন নবীনগর- কড়ইকান্দি-আড়াইহাজার রাস্তাটি খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে-ড. সালেহউদ্দিনআহমেদ।  প্রথমবার নবীনগরে আসছেন অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ 
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদা গোষ্ঠী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদা গোষ্ঠী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগ ১০ জন আহত।

গতকাল, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউপির বুধন্তি গ্রামে এক ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধন্তি গ্রামের বদা গোষ্ঠীর মিজান একজন বহিষ্কৃত নেতা এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার মতো মামলা রয়েছে। একই গ্রামের ভূঁইয়া গোষ্ঠীর চমক ভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। মিজানের ধারণা, তাকে বহিষ্কাকারের পেছনে চমক ভূঁইয়ার হাত রয়েছে। এই সন্দেহের জেরে মিজান চমকের ওপর আক্রমণের সুযোগ খুঁজছিলেন।

অবশেষে গতকাল রাতে মিজানের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা চমক ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

এতে চমক, জাহাঙ্গীর, আশিক, ফরিদ, হান্নান, ইয়াসিন এবং জহুরুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে গেছে এবং আশিকের চোখে আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী দাবি করে যে ৫ই আগস্টের পর থেকে মিজান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির মামলাসহ নানা মামলা হয়েছে।

মিজানের স্ত্রী: তিনি জানান যে তার ছেলে এবং চমক ভূঁইয়ার ছেলে একই সাথে লেখাপড়া করে। মিজান বহিষ্কারের পর থেকে চমকের ছেলে মিজানের ছেলের সাথে উপহাস করে কথা বলতো। গতরাতে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিজানের বাড়িতে মিটিং করার সময় চমকের লোকজন তাদের বাড়িতে আক্রমণ চালায়।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আলম: তিনি জানান যে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তারা নেতাকর্মীদের মাধ্যমে উভয়কে মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাদের আসার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়।

রাত ৮টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে দুটি হারভেস্টার মেশিন, খড়ের গাদা ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া থাই জানালার গ্লাস এবং বেশ কিছু আসবাবপত্রেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে. পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে

বিজয়নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, মিজান অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং পুলিশের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বর্তমানে (জামিনপ্রাপ্ত), অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেরকুটা লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে মিনিবার ফুটবল লক্ষ টাকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদা গোষ্ঠী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ

আপডেট সময় ১১:৫৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদা গোষ্ঠী ও ভূঁইয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগ ১০ জন আহত।

গতকাল, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউপির বুধন্তি গ্রামে এক ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধন্তি গ্রামের বদা গোষ্ঠীর মিজান একজন বহিষ্কৃত নেতা এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার মতো মামলা রয়েছে। একই গ্রামের ভূঁইয়া গোষ্ঠীর চমক ভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। মিজানের ধারণা, তাকে বহিষ্কাকারের পেছনে চমক ভূঁইয়ার হাত রয়েছে। এই সন্দেহের জেরে মিজান চমকের ওপর আক্রমণের সুযোগ খুঁজছিলেন।

অবশেষে গতকাল রাতে মিজানের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা চমক ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

এতে চমক, জাহাঙ্গীর, আশিক, ফরিদ, হান্নান, ইয়াসিন এবং জহুরুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে গেছে এবং আশিকের চোখে আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী দাবি করে যে ৫ই আগস্টের পর থেকে মিজান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির মামলাসহ নানা মামলা হয়েছে।

মিজানের স্ত্রী: তিনি জানান যে তার ছেলে এবং চমক ভূঁইয়ার ছেলে একই সাথে লেখাপড়া করে। মিজান বহিষ্কারের পর থেকে চমকের ছেলে মিজানের ছেলের সাথে উপহাস করে কথা বলতো। গতরাতে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিজানের বাড়িতে মিটিং করার সময় চমকের লোকজন তাদের বাড়িতে আক্রমণ চালায়।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আলম: তিনি জানান যে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তারা নেতাকর্মীদের মাধ্যমে উভয়কে মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাদের আসার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়।

রাত ৮টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে দুটি হারভেস্টার মেশিন, খড়ের গাদা ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া থাই জানালার গ্লাস এবং বেশ কিছু আসবাবপত্রেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে. পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে

বিজয়নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, মিজান অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং পুলিশের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বর্তমানে (জামিনপ্রাপ্ত), অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।