ঢাকা , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগর বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ৭ প্রার্থী এক মঞ্চে নবীনগরে আওয়ামীলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার! স্বর্গীয় বাসুদেব সূত্রধরের ২৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত আব্দুল লতিফের ২৪ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ‎নবীনগরে সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার  নবীনগরের গনিশা এলাকার জোড়া খুনের ঘটনার প্রধান আসামি রিফাত সহ গ্রেপ্তার ২   নবীনগরে বিএনপি’র প্রার্থীতা পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন   আমি আপনাদের মানুষ, আপনারা আমাকে ছেড়ে যাবেন না” — কাজী নাজমুল হোসেন তাপস এক যুগ পর শাহানুর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাহের কমিশনার ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি নিয়ে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com

নবীনগরে রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো একজনের মৃত্যু 

মিঠু সূত্রধর পলাশ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন ইয়াসিন মিয়া(২০) নামে আহত যুবক (৩নভেম্বার) সোমবার ভোররাত আনুমানিক পাঁচটার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করছেন।

সে নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে ওই রেস্তোরাঁয় হোটেল কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো।
 
‎সুত্র জানায়, শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে বড়িকান্দি গনিশাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় আকস্মিক হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন চারজন।
‎এর মধ্যে ঢাকায় নেয়ার পথে  শিপন মিয়া (৩০)নামে একজন মারা যান।  তিনি উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকার কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।
‎এ  ঘটনার পর গতকাল দিনব্যাপী পর্যন্ত পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফের হামলা, ভাঙচুর ও গুলাগুলির আতঙ্ক দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত থেকেই পুলিশ, র‍্যাব ও সেনা সদস্যরা এলাকায় টহল দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখে।
‎নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক জানায়,  উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও গুলিবর্ষণে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধদের সবাইকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে গতকাল ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিপন মিয়া। আহত ইয়াছিন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দিবাগত রাতের শেষদিকে সেও মারা যায়।
‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে গণিশাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাৎ হোটেলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
‎গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
 অপরদিকে‎ শিপনের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে তার অনুসারীরা প্রতিপক্ষের এলাকায় পাল্টা হামলা চালায়। তারা গণিশাহ মাজার সংলগ্ন তালতলায় স্থানীয় শিক্ষক  এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে গুলি চালায়। এতে এমরান (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই ও শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
‎এর পর উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষ থোল্লাকান্দি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। পুরো এলাকায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভয় ও আতঙ্ক।
‎খবর পেয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক এবং থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‎ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের।
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগর বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ৭ প্রার্থী এক মঞ্চে

নবীনগরে রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো একজনের মৃত্যু 

আপডেট সময় ০৩:২২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

মিঠু সূত্রধর পলাশ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন ইয়াসিন মিয়া(২০) নামে আহত যুবক (৩নভেম্বার) সোমবার ভোররাত আনুমানিক পাঁচটার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করছেন।

সে নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে ওই রেস্তোরাঁয় হোটেল কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো।
 
‎সুত্র জানায়, শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে বড়িকান্দি গনিশাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় আকস্মিক হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন চারজন।
‎এর মধ্যে ঢাকায় নেয়ার পথে  শিপন মিয়া (৩০)নামে একজন মারা যান।  তিনি উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকার কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।
‎এ  ঘটনার পর গতকাল দিনব্যাপী পর্যন্ত পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফের হামলা, ভাঙচুর ও গুলাগুলির আতঙ্ক দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত থেকেই পুলিশ, র‍্যাব ও সেনা সদস্যরা এলাকায় টহল দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখে।
‎নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক জানায়,  উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও গুলিবর্ষণে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধদের সবাইকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে গতকাল ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিপন মিয়া। আহত ইয়াছিন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দিবাগত রাতের শেষদিকে সেও মারা যায়।
‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে গণিশাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাৎ হোটেলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
‎গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
 অপরদিকে‎ শিপনের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে তার অনুসারীরা প্রতিপক্ষের এলাকায় পাল্টা হামলা চালায়। তারা গণিশাহ মাজার সংলগ্ন তালতলায় স্থানীয় শিক্ষক  এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে গুলি চালায়। এতে এমরান (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই ও শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
‎এর পর উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষ থোল্লাকান্দি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। পুরো এলাকায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভয় ও আতঙ্ক।
‎খবর পেয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক এবং থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‎ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের।