
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ১১টায় সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন জনগণ।
মানববন্ধনে সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. কাউসার আলম, সহ-সভাপতি মো. আতাউর রহমান খসরু, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল হামীম রিপন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ জাহান, যুবদল নেতা মো. শাহিন কাজল, নুরুন নবী শান্ত, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার ফুয়াদ হাসান, রবিউল হাসান মানিক, কৃষকদলের সভাপতি মো. বাসার মিয়া, বিএনপি নেতা মো. ফুল মিয়া, যুবদল নেতা রুহুল আমিন বায়জিদ, হাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুখলেছুর রহমান ও সুজ্জু মিয়াসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় আর ফেরেননি। তার অনুপস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বক্তারা আরও বলেন, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। বর্তমানে তিনি একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিও বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. কাউসার আলম।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের প্রতিক্রিয়া জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, “কোন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের জন্য মানববন্ধন বা সংবাদ সম্মেলন যথাযথ প্রক্রিয়া নয়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে আমার বা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বরাবর জমা দিতে হবে। অভিযোগ প্রাপ্ত হলে আমরা তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের অপসারণ ছাড়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে না। তাই তারা দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চেয়ারম্যানের অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।