
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. আব্দুল মতিন। রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট আব্দুল মতিন বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী থেকে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে আসছেন। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নবীনগরের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তবে সংবাদ সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ব্যানারে কেবল এডভোকেট আব্দুল মতিনের ছবি থাকলেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো ছবি ব্যবহার করা হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দলীয় মনোনয়ন চাইতে এসে কেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ নেতাদের ছবি বাদ দেওয়া হলো? এটি কি শুধুই আয়োজকদের ভুল নাকি ভিন্ন কোনো বার্তা দেওয়ার কৌশল—এ নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
স্থানীয় অনেক নেতার ভাষ্য অনুযায়ী, বসন্তের কোকিলের মতো নির্বাচন আসলেই কেউ কেউ নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন, অথচ সারা বছর তারা জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না। এই ধরণের প্রার্থীরা বাস্তবে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয় বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে।
সব মিলিয়ে, নবীনগরে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

মিঠু সূত্রধর পলাশ 









