
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দিতে দেরি করায় সেলিনা সুলতানা নামের এক নার্সকে মেড়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে রোগীর স্বজনরা। গককাল শুক্রবার (১৫ /৮/২৫) এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়- উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জরিনা বেগম নামের এক রোগী বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে দায়িত্বরত নার্স সেলিনা ওই রোগীকে ইঞ্জেকশন দিতে কিছুটা দেরি করায়, রোগী জরিনা ও তার সন্তান রায়হানের (২৪) সঙ্গে নার্সের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান ও তার স্বজনেরা নার্সকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তামিম রায়হান বলেন- “দায়িত্বরত নার্স একজন রোগীকে সেবা দানের পরই জরিনাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে জানাতেই রোগীসহ স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। হামলার ফলে নার্স সেলিনার মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে”। এ বিষয়ে রোগী জরিনা ও তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর ইসলাম বলেন- “এ ঘটনায় হাসপাতালের আরএমও বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে “।

মিঠু সূত্রধর পলাশ 









