ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগর প্রেসক্লাবের ৪০ তম বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নবীনগরকে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি আদর্শ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই- এম এ মান্নান।  ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নবীনগরে বিএনপি’র প্রার্থী এম এ মান্নানে’র বিশাল মহা সমাবেশ নবীনগরে বিএনপি’র মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল নবীনগর বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ৭ প্রার্থী এক মঞ্চে নবীনগরে আওয়ামীলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার! স্বর্গীয় বাসুদেব সূত্রধরের ২৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত আব্দুল লতিফের ২৪ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ‎নবীনগরে সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার  নবীনগরের গনিশা এলাকার জোড়া খুনের ঘটনার প্রধান আসামি রিফাত সহ গ্রেপ্তার ২  
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com

সাইনবোর্ড বিহীন আজব কারখানায় প্রশাসনের অভিযান

মিঠু সূত্রধর পলাশ: রাধিকা-নবীনগর সড়কের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অংশে বার আউলিয়া’র বিল এলাকায় গড়ে উঠা সাইনবোর্ড বিহীন এক আজব কারখানায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।

পুরোনো টায়ার পুড়ে কালো তৈলাক্ত পদার্থ যা গ্রীন অয়েল নামক জ্বালানী তেল উৎপাদন করছেন বলে জানিয়েছেন কারখানা প্রতিনিধি।
কারখানার ভিতরে স্তপ করে রাখা হয়েছে প্রচুর পরিমান কাটা গাছ। গাছগুলো টায়ার পুড়তে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে!
মজার ব্যাপার হলো সারাদিন বন্ধ থাকলেও বিকালে থেকে প্রস্তুতি শুরু এবং রাতে চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। সারারাত চুল্লি জ্বলে আর উৎপাদিত পদার্থ প্রসেস করে বড় লোহার কন্টিনে সংরক্ষণ করে প্রয়োজনমতো বাজারজাত করা হয়।
রাতের আঁধারে চিমনি দিয়ে কি পরিমাণ কালো বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয় তার হিসেব কারো কাছে নেই বা প্রাকৃতিক জলাশয় বার আউলিয়া’র বিল ও জীববৈচিত্র্যের কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তারও হিসেব নেই!
এ পদ্ধতিতে টায়ার পোড়ালে তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এটি থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ও দূষণ নির্গত হয়।
পুরানো টায়ার পোড়ালে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত ধোঁয়া, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ু দূষণ ঘটায়।
এ থেকে উৎপন্ন ছাইয়ে ভারী ধাতু ও রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে।
এতে কারখানার শ্রমিকসহ এলাকার জনসাধারণের  শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ। এর ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র পরিদর্শক মো. রাকিবুল হাসান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, সদস্য সোহেল রানা ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
অভিযানের সময় কারখানার মালিক বা ম্যানাজারকে না পাওয়া গেলেও শ্রমিকদের পাওয়া যায়। মানবিক দিক বিবেচনা করে শ্রমিকদের আটক করা হয়নি তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কারখানাটি বন্ধ রাখতে নোটিশ করা হয়। এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে হাজির হতেও বলা হয়।
পরিবেশ আইন অমান্য করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে জলাধার ভরাট করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় ভূমির মালিক মো. ফালু মিয়াকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে তা আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার পাশাপাশি এটি অভিযানের প্রথম ধাপ বলে জানান পরবর্তীতে আইন অমান্য করলে পরিবেশ আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিষয়টি আমলে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগর প্রেসক্লাবের ৪০ তম বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাইনবোর্ড বিহীন আজব কারখানায় প্রশাসনের অভিযান

আপডেট সময় ০৬:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মিঠু সূত্রধর পলাশ: রাধিকা-নবীনগর সড়কের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অংশে বার আউলিয়া’র বিল এলাকায় গড়ে উঠা সাইনবোর্ড বিহীন এক আজব কারখানায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।

পুরোনো টায়ার পুড়ে কালো তৈলাক্ত পদার্থ যা গ্রীন অয়েল নামক জ্বালানী তেল উৎপাদন করছেন বলে জানিয়েছেন কারখানা প্রতিনিধি।
কারখানার ভিতরে স্তপ করে রাখা হয়েছে প্রচুর পরিমান কাটা গাছ। গাছগুলো টায়ার পুড়তে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে!
মজার ব্যাপার হলো সারাদিন বন্ধ থাকলেও বিকালে থেকে প্রস্তুতি শুরু এবং রাতে চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। সারারাত চুল্লি জ্বলে আর উৎপাদিত পদার্থ প্রসেস করে বড় লোহার কন্টিনে সংরক্ষণ করে প্রয়োজনমতো বাজারজাত করা হয়।
রাতের আঁধারে চিমনি দিয়ে কি পরিমাণ কালো বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয় তার হিসেব কারো কাছে নেই বা প্রাকৃতিক জলাশয় বার আউলিয়া’র বিল ও জীববৈচিত্র্যের কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তারও হিসেব নেই!
এ পদ্ধতিতে টায়ার পোড়ালে তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এটি থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ও দূষণ নির্গত হয়।
পুরানো টায়ার পোড়ালে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত ধোঁয়া, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ু দূষণ ঘটায়।
এ থেকে উৎপন্ন ছাইয়ে ভারী ধাতু ও রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে।
এতে কারখানার শ্রমিকসহ এলাকার জনসাধারণের  শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ। এর ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র পরিদর্শক মো. রাকিবুল হাসান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, সদস্য সোহেল রানা ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
অভিযানের সময় কারখানার মালিক বা ম্যানাজারকে না পাওয়া গেলেও শ্রমিকদের পাওয়া যায়। মানবিক দিক বিবেচনা করে শ্রমিকদের আটক করা হয়নি তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কারখানাটি বন্ধ রাখতে নোটিশ করা হয়। এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে হাজির হতেও বলা হয়।
পরিবেশ আইন অমান্য করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে জলাধার ভরাট করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় ভূমির মালিক মো. ফালু মিয়াকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে তা আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার পাশাপাশি এটি অভিযানের প্রথম ধাপ বলে জানান পরবর্তীতে আইন অমান্য করলে পরিবেশ আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিষয়টি আমলে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’