ঢাকা , রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগরে দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে গোলাগুলি ,৩ জন গুলিবিদ্ধ ‎নবীনগর পৌরসভায় মাসিক সভা অনুষ্ঠিত নবীনগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা  আহত হওয়ার পাঁচ দিন পর থানায় মামলা মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নবীনগরে বিক্ষোভ সমাবেশ  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নবীনগর উপজেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও জনসভা অনুষ্ঠিত” ৩ দিনেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি গুলিবিদ্ধ মুকুলের ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা নবীনগরে বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নবীনগরে বিএনপি নেতাকে গুলির ঘটনায় শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত নবীনগরে যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান মুকুল গুলিবিদ্ধ
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগর বিএনপির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগর বিএনপির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি বলে বলেছেন নবীনগর উপজেলার বিএনপির সভাপতি এমএ মান্নান।

আজ (২৮ জুন) শনিবার নবীনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এম এ মান্নানের আলিয়াবাদ গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে নবীনগর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫ জন করে প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় এডভোকেট এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন ।

সভার প্রথমে সূচনা বক্তব্যে এডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগরের বিএনপির হাল ধরে রাখতে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে, প্রশাসনের রক্ত চক্ষু কে ভয় না পেয়ে,আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি।তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।

উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসরাফ হোসেন রাজু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস কে হেলাল, নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন খান টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আমির হোসেন, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি দুলাল আহমেদ, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম আর মুজিব, বীরগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি সেলিম খান, উত্তর ইউনিয়ন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম সবুজ,শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বায়োজিদ আহমেদ বাবু,তাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সারোয়ার আহমেদ মাসুদ,বিদ্যাকুট ইউনিয়ন সভাপতি আলী আহমদ।সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিএনপি’র দুর্দিনে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের ত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিএনপির রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার এক সংগ্রামী অধ্যায়ের নাম এডভোকেট এম এ মান্নান। প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে শহীদ হওয়ার পর যখন সারাদেশে বিএনপির রাজনীতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় নবীনগরে দলকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে এডভোকেট এম এ মান্নান ছিলেন সাহসী, প্রত্যয়ী এবং আদর্শনিষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ। স্থানীয় পর্যায়ে তিনি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেন। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন।

রাজনৈতিক চাপ ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নবীনগরে বিএনপির উপস্থিতি টিকিয়ে রাখা এবং দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। বর্তমানেও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একজন সম্মানিত ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। আগামী সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট আব্দুল মান্নানকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে নবীনগর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পর্যন্ত যাবে,তবুও আমরা এডভোকেট আব্দুল মান্নানকে ধানের শীষ প্রতীকে দেখতে চাই।

নবীনগরের প্রবীণ রাজনৈতিক মহল মনে করেন, এডভোকেট এম এ মান্নান নবীনগরে বিএনপির ভিত্তি গঠনে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা বিএনপির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

নবীনগরে দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে গোলাগুলি ,৩ জন গুলিবিদ্ধ

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগর বিএনপির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি

আপডেট সময় ০৮:০০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগর বিএনপির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছি বলে বলেছেন নবীনগর উপজেলার বিএনপির সভাপতি এমএ মান্নান।

আজ (২৮ জুন) শনিবার নবীনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এম এ মান্নানের আলিয়াবাদ গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে নবীনগর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫ জন করে প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় এডভোকেট এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন ।

সভার প্রথমে সূচনা বক্তব্যে এডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর নবীনগরের বিএনপির হাল ধরে রাখতে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে, প্রশাসনের রক্ত চক্ষু কে ভয় না পেয়ে,আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি।তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।

উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসরাফ হোসেন রাজু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস কে হেলাল, নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন খান টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আমির হোসেন, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি দুলাল আহমেদ, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম আর মুজিব, বীরগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি সেলিম খান, উত্তর ইউনিয়ন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম সবুজ,শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বায়োজিদ আহমেদ বাবু,তাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সারোয়ার আহমেদ মাসুদ,বিদ্যাকুট ইউনিয়ন সভাপতি আলী আহমদ।সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিএনপি’র দুর্দিনে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের ত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিএনপির রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার এক সংগ্রামী অধ্যায়ের নাম এডভোকেট এম এ মান্নান। প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে শহীদ হওয়ার পর যখন সারাদেশে বিএনপির রাজনীতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় নবীনগরে দলকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে এডভোকেট এম এ মান্নান ছিলেন সাহসী, প্রত্যয়ী এবং আদর্শনিষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ। স্থানীয় পর্যায়ে তিনি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেন। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন।

রাজনৈতিক চাপ ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নবীনগরে বিএনপির উপস্থিতি টিকিয়ে রাখা এবং দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। বর্তমানেও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একজন সম্মানিত ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। আগামী সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট আব্দুল মান্নানকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে নবীনগর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পর্যন্ত যাবে,তবুও আমরা এডভোকেট আব্দুল মান্নানকে ধানের শীষ প্রতীকে দেখতে চাই।

নবীনগরের প্রবীণ রাজনৈতিক মহল মনে করেন, এডভোকেট এম এ মান্নান নবীনগরে বিএনপির ভিত্তি গঠনে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা বিএনপির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।