
(ফলোআপ নিউজ)
মিঠু সূত্রধর পলাশ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার। তিনি জানান, নিহতের কপাল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট।
এদিকে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া চারজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিউদ্দিন, প্রকাশ (রাব্বি), মাসুদ রানা ও তবি মিয়া। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার পর এসআই মহিউদ্দিনকে সোমবার সকালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওবায়দুর রহমান।
এদিকে নবীনগর থানা পুলিশের অভিযোগ, নিহত আব্দুল্লাহকে চারদিন ধরে ছলিমগঞ্জ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হলেও বিষয়টি থানার ওসি ও সার্কেল কর্মকর্তার কাছ থেকে গোপন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক জানান, এ ঘটনায় এক পুলিশ সসদ্যসহ চার জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। পাশাপাশি সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে

মিঠু সূত্রধর পলাশ 







