নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযানের সময় পার্লারের তিনজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সমবায় সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণ থেকে আরও একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায়। ওসি আরও বলেন, জাল নোট ও অস্ত্রের উৎস শনাক্তকরণের জন্য তদন্ত চলছে।
এদিকে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ রোডে পার্লারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এর আগে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার আদালতপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই পার্লার থেকে ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল নোটের সিরিয়াল নম্বর ছিল ট ৮৬২৭৩৬৯।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলমনগর গ্রামের সাথী (৪৫), করিমশাহ এলাকার তাসলিমা আক্তার(২৮), মৃত আমিন মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার(৩২) এবং ইব্রাহিমপুর গ্রামের সুলতান খন্দকারের মেয়ে লাকি বেগম(৩২)।
অভিযানের সময় পার্লারের ম্যানেজার সাথী জানান, একটি মেয়ে ‘হাইড্রা ফেসিয়াল’ করার কথা বলে পার্লারে আসেন, দরদামের পর একটি ব্যাগ রেখে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর ব্যাগ থেকে জাল টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ওইদিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বিকেল ৪টার দিকে কালো পোশাক ও মুখে মাস্ক পরিহিত এক যুবতী রিকশায় করে পার্লারে প্রবেশ করেন, তার আনা ব্যাগ থেকেই এসব জাল টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার হয় বলে ধারণা করে পুলিশ।