সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

নবীনগরে নকল নিকা নামা রেজিস্টার ছাপিয়ে সরকারি টাকা ফাকির অভিযোগ কাজীর বিরুদ্ধে।

নবীনগর প্রতিনিধি / ২২৩ বার
আপডেট : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের তৎকালীন কাজী শরিফ উদ্দিনের ছেলে মো.মোসাদ্দেক। আজ শনিবার(২০/০৫)শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসাবে আইন বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত কাজী মুফতি মো. জয়নাল আবেদীন উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালে আইন বিচারে সংসদীয় মন্ত্রণালয় ১৯৭৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাকপ্রাপ্ত বিধিমালা মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মোসাদ্দেক নিজেকে কাজী দাবী করে আদালতের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ সময় বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমাকে বৈধ কাজী হিসাবে মামলার রায় প্রদান করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে মোসাদ্দেক আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিভিউ পিটিশনের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ ৮ জনের একটি বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে পূর্বের রায় বহাল রাখেন।
এই রায়ের পরেও পেশী শক্তির বলে রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ করে যাচ্ছেন।আমি বাঁধা প্রদান করিলে আমাকে হুমকি প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন,মোসাদ্দেক অবৈধভাব নকল নিকাহ্ বহিঃ ছাপাইয়া সরকারি টাকা আত্মসাৎসহ জালিয়াতী করে আসছে এবং অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ পরাতে গিয়ে ধরা খেয়ে জেল খেটেছেন। তার ্এই অবৈধকার্যক্রম বন্ধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তনিজেকে কাজী দাবী করা মোছাদ্দেক নিজেকে বৈধ কাজী দাবী করে বলেন, আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে রি-কল পিটিশন আবেদন দায়ের করেছেন।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ