ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগর প্রেসক্লাবের ৪০ তম বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নবীনগরকে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি আদর্শ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই- এম এ মান্নান।  ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নবীনগরে বিএনপি’র প্রার্থী এম এ মান্নানে’র বিশাল মহা সমাবেশ নবীনগরে বিএনপি’র মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল নবীনগর বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ৭ প্রার্থী এক মঞ্চে নবীনগরে আওয়ামীলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার! স্বর্গীয় বাসুদেব সূত্রধরের ২৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত আব্দুল লতিফের ২৪ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ‎নবীনগরে সাবেক চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার  নবীনগরের গনিশা এলাকার জোড়া খুনের ঘটনার প্রধান আসামি রিফাত সহ গ্রেপ্তার ২  
নোটিশ :
নিয়মিত সংবাদ পেতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন । startvbd20@gmail.com
নবীনগরে টানা চার দিন বিদ্যুৎহীন, জনতার ঘেরাও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস

নবীনগরে টানা চার দিন বিদ্যুৎহীন, জনতার ঘেরাও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস

  • মিঠু সূত্রধর পলাশ
  • আপডেট সময় ০৬:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে
টানা চার দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। পল্লী বিদ্যুতের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি পালন করায় উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 
এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার রাতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন উপশাখা ও বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগী রহিছ মিয়া, খালেক মিয়া ও আনোয়ার হোসেন জানান, চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম, এমনকি চিকিৎসা সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিও জানান তারা।
জানাগেছে, নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ও এর দুটি উপশাখার আওতায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। কিন্তু গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে গণছুটিতে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে জিনোদপুর, সলিমগঞ্জ, বড়িকান্দি ও নাটঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গ্রাহক অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সরকারি এজিএম তূর্য মিত্র বলেন, “কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর পেয়েছি। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় আমরা অসহায়।”
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, “সাত লক্ষ মানুষের এই উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন। তার ওপর কর্মবিরতির কারণে অভিযোগ পেলেও তা সমাধান করা যাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে গণছুটিতে রয়েছেন। এর ফলে সারাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। যদিও সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহকে জরুরি পরিষেবা ঘোষণা করে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে, তবে এখনো কেউ সেই নির্দেশ মানেননি।
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগর প্রেসক্লাবের ৪০ তম বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে টানা চার দিন বিদ্যুৎহীন, জনতার ঘেরাও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস

নবীনগরে টানা চার দিন বিদ্যুৎহীন, জনতার ঘেরাও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস

আপডেট সময় ০৬:২৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টানা চার দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। পল্লী বিদ্যুতের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি পালন করায় উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 
এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার রাতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন উপশাখা ও বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগী রহিছ মিয়া, খালেক মিয়া ও আনোয়ার হোসেন জানান, চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম, এমনকি চিকিৎসা সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিও জানান তারা।
জানাগেছে, নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ও এর দুটি উপশাখার আওতায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। কিন্তু গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে গণছুটিতে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে জিনোদপুর, সলিমগঞ্জ, বড়িকান্দি ও নাটঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গ্রাহক অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সরকারি এজিএম তূর্য মিত্র বলেন, “কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর পেয়েছি। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় আমরা অসহায়।”
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, “সাত লক্ষ মানুষের এই উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন। তার ওপর কর্মবিরতির কারণে অভিযোগ পেলেও তা সমাধান করা যাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে গণছুটিতে রয়েছেন। এর ফলে সারাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। যদিও সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহকে জরুরি পরিষেবা ঘোষণা করে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে, তবে এখনো কেউ সেই নির্দেশ মানেননি।