মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

আশুগঞ্জ নৌবন্দর পরিদর্শন করলেন বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যান

জহির সিকদার / ২৫২ বার
আপডেট : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দরের কার্গো টার্মিনালসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে প্রস্তাবিত ভুমি এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তুফা। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি আশুগঞ্জের প্রস্তাবিত উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিআইডব্লিউটিএ‘র সুত্র জানায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ-আঞ্চলিক নৌপরিবহন গতিশীল করতে বিআইডব্লিউটিএ‘র তত্ত্বাবধনে ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক কার্গো টার্মিনাল বাস্তবায়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে নৌমন্ত্রণালয়। জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ নৌবন্দরে একটি আরসিসি জেটি, নদীর তীর রক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণ, দুটি স্টিল জেটি, পার্কিং ইয়ার্ড, ওয়্যার হাউজ, পেটি রোড, আরসিসি র‌্যাম ও টার্মিনাল পন্টুনহ প্রয়োজনীয় অন্য অবকাঠামো নির্মিত হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অর্থবছর থেকে অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নৌবন্দর পরিদর্শনেরসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ‘র যুগ্ম সচিব ও সদস্য (অর্থ) মোঃ সেলিম ফকির এনডিসি, পরিচালক (বন্দর) মোঃ সাইফুল ইসলাম, পরিচালক ( নৌপথ) মোঃ শাহজাহান, উপ-পরিচালক (বন্দর) মোঃ রেজাউল করিম, উপ-পরিচালক নৌপথ মোঃ জসিম উদ্দিন।
পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের সাথে এক মত-বিনিময় সভায় মিলিত হন। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সী, চর চার তলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফাইজুর রহমান,পূনর্বাসন মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বকুল, আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাহিন সিকদার প্রমুখ। এ সময় বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেন, ভৈরব ব্রীজ নির্মাণের কারণে অনেক জায়গার মালিক ও এখানকার ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তখন সরকার ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কখা চিন্তা করে তাদেরকে পুনর্বাসন করেছিলেন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা পুনরায় তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকারের প্রয়োজনে বর্তমান জায়গা থেকে ব্যবসায়ীদেরকে উচ্ছেদ করা হলে ব্যবসায়ীরা অন্যত্র গিয়ে ব্যবসা করার মত সুযোগ থাকবেনা। শুধু তাই নয় এখানকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন-জীবিকার উপর ও আঘাত আসবে। সে জন্য ব্যবসায়ীসহ শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষার দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। তা না হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক শ্রমিক বেকারত্ব সহ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে। সার,রড,সিমেন্ট, কীটনাশক ব্যাবসা হুমকির মুখে পড়বে। তাই ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা ও শ্রমিকদের রোজগারের কথা বিবেচনা করে পূনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শ্রমিক সংগঠনের লোকজন, সার সমিতির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ