এই মুহূর্তে চলছে তরমুজের খড়া মৌসুম, বাজারে তরমুজের কোনো কমতি না থাকলেও দাম এখনও অনেক চওড়া।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক বছরের তুলনায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। তেমনি একজন সফল তরমুজ চাষি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন গুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান হাজ্বী নান্নু মিয়ার প্রবাসী দুই ছেলে আক্তার ও মামুন বাড়ির পাশে ৫০ শতক জমিতে,থাইল্যান্ডি তরমুজের চাষ করেছেন ।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক তুলনায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তার মাচায় এখন ঝুলছে দুই রকমের থাইল্যান্ডি
ছোট বড় আকারের সুস্বাদু তরমুজ। এখন সেগুলো পাইকারি দরে বিক্রির অপেক্ষায় দিন গুনছেন এই চাষি।
থাইল্যান্ডি জাতের তরমুজের উপরের রং হলুদ ও ব্ল্যাক-প্রিন্স জাতের তরমুজের উপরের রং গাড় সবুজ। দুটি জাতের তরমুজের ভিতরের রং গাড়ো লাল ও হলুদ দুই রকম ,যা খেতে খুব সুস্বাদু। চাষি জানান এই তরমুজ চাষে কোনো লোকসান হয়না, বীজ বপনের দুই মাস পরেই ফল পাওয়া যায়, খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ হয় বেশী ,তাই নান্নু হাজীর ছেলেরা মাঠে অন্য চাষ বাদ দিয়ে এবার তরমুজ চাষ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,হাজ্বী নান্নু মিয়ার ছেলে আক্তার ও মামুন প্রবাসে থাকে।প্রবাসে তারা তরমুজ ব্যাবসা করে।প্রবাস থেকে তারা তরমুজ চাষ দেখে বাড়িতে ছুটিতে এসে প্রতিবছর তরমুজ চাষ করে।গত বছর ও তারা তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছে।তাই এ বছর ৫০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছে এবং লাভ হওয়ার আসা গুনছে।
হাজ্বী নান্নুর ছেলে আক্তার বলেন, এই তরমুজ চাষে কোনো লোকসান হয়না,বীজ বপনের দুই মাস পরেই ফল পাওয়া যায়, খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ হয় বেশী তাই তারা অন্য চাষ বাদ দিয়ে এবার তরমুজ চাষ করেছেন।এই ৫০ শতক জমিতে থাইল্যান্ডি জাতের তরমুজ চাষে তার ব্যায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।তারা আশাবাদী এই উৎপাদিত তরমুজ, প্রায় সারে চাঁর লাখ টাকারও বেশী বিক্রি করতে পারবেন।
তার পাশাপাশি হাজ্বী নান্নু মিয়ার প্রবাসী ছেলেরা বাড়ির পাশে নানা রকমের ফল ফলাদি বাগান চাষ করে সকলের নজর কেড়েছে ।