শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

নবীনগর কাইতলা জমিদার বাড়ির শত বছরের পুরনো দিঘী দখল মুক্তকরে রাস্তা সংস্কার চাই সাধারণ জনগণ ।

মিঠু সূত্রধর পলাশ / ৩৯৪ বার
আপডেট : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা জমিদার বাড়ির শত বছরের পুরনো সরকারী দিঘীটি ইজারা এনে মাছ চাষ করে আসছে কাইতলা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ফেরদৌস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী কাইতলা রামনগর মৌজার ৩.১৬ একর দিঘীটির চতুরপাশ
ঘেসে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস, ঐ
দিঘীটির পূর্বাপাশে যোগ যোগ ধরে রেকর্ডের রাস্তা ছিল।
দীর্ঘদিন যাবত এই জমিদার বাড়ির দিঘীটি সেচ না করায় রেকর্ডের রাস্তা সহ আসপাশের বাড়িঘর দিঘীর মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে , তাই সাধারণ জনগণ ও স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের লোকজন বাজারে আশা যাওয়া করতে অনেক বেগাত ঘঠে ।

এ সময় স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী
অনেক বলে,নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাজি ফেরদৌস রাজনীতির প্রভাব হাটিয়ে দিঘীটি বারবার ইজারা এনে তার দখলে নিয়ে রেখেছে , তাই তারা দিঘীটি সেচে ,দিঘীর চতুরপাশের
বাড়িঘরসহ রাস্তাগুলো সংস্কার করতে পারতেছেনা।
১৪২৯ বাংলা সনে কাজি ফেরদৌসের
ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আবার পুরো দিঘীর মধ্যে বাঁশ গেথে পুনরায় অবৈধভাবে দখলে নেন।
তাই বৃহস্পতিবারে দিঘীর চতুরপাশের
বসবাসকারীগণ উত্তেজিত হয়ে দিঘীর বাঁশগুলো দিঘী থেকে সরিয়ে দেন।
এসময় দিঘীরপাড় চারপাশের বসবাসকারী
সাধারণ জনগণের দাবি, অতি দ্রুত দিঘীটাকে সেচে করে দিঘীর চতুরপাশে বাড়িঘরসহ রাস্তাগুলো পুনরায় সংস্কার করার দাবি জানান।

কাইতলা দঃ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান কাইতলা জমিদার বাড়ির শত বছরের পুরনো দিঘীর পাশে বসবাসরত সকল জনগণের দাবি দিঘীটি অবমুক্ত করে চতুরপাশের রাস্তা গুলো সংস্কার করে তাদের ভিটে বাড়ি গুলো বাঁচানো এবং যাতায়েত কারিদের যাতায়াতের সুবিধা করে দেওয়া।
কাজী ফেরদৌস বারবার এই দিঘীটি লিজ এনে দখলে রেখেছে , গতবছরও খাস কালেকশন নিয়ে আসছে টেন্ডার ছাড়া, তার মেয়াদ চলে গেলেও সে পুনরায় দিঘীটি আবার দখল করে রেখেছেন ,
আমি কয়েকদিন আগে এমপি মহোদয়সহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানালাম এই দিঘীর
পাড়ের মানুষের দুরবস্থার কথা, দিঘীরপাড়
ও রাস্তা ভেঙ্গে দিঘীর ভিতরে চলে গেছে , তখন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরও আবার অবৈধভাবে কাজী ফেরদৌস দিঘীটি যাহাতে সেচ দিতে না পারে তাই দিঘীর ভিতরের চতুর্পাশে বাশ কুপে দেন।
জনগণ যখন আজ জানতে পারেন যে দিঘীর ইজারার মেয়াদ শেষ তখন জনগণ আজ দিঘী
থেকে বাঁশগুলো সরিয়ে বলেন অতি দ্রুত
দিঘীটাকে সেচে দিঘীর চতুরপাশে
বাড়িঘরসহ রাস্তাগুলো পুনরায় সংস্কার করার জন্য দাবি জানান ।
এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
কাজী ফেরদৌস কে এনিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান জনগনের সুবিধার্থে দিঘীটি সেচ দিতে আমার কোন প্রকার বাধা নাই। আমিও চাই দিঘীটি অতিদ্রুত সেচ করে আশপাশের বাড়িঘরসহ রাস্তাগুলো পুনরায় সংস্কার করার
হউক।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories