আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীনগরের শিবপুরে গড়ে উঠেছে মহিষের খামার। খামারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির মহিষ লালন পালন করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পশুর বেশি বেশি পরিচর্যা করছেন খামারি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজলার শিবপুর দক্ষিণপাড়া বাণিজ্যিকভাবে মহিষের খামার গড়ে তুলেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির মিয়া ও রহিজ মিয়া।
টিনশেডের ছাউনিতে সাদা ও কালো রঙের বিভিন্ন জাতের মহিষের পালন করছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ২৬ টি মহিষ রয়েছে।
মনির মিয়া বলেন আমার খামারের মহিষগুলুকে
নিজ জমিতে লাগানো ঘাষ, বিচালি, খৈল ও ভুসি খাওয়াচ্ছি ,মহিষগুলোকে দেশীয় পদ্ধতিতেই বড় করছি। কোনো রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করছি না।
খামারির মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির মিয়া ও রহিজ মিয়া বলেন, আমরা অনেকগুলো মহিষ সংগ্রহ করেছি। তারমধ্যে দুই টি বিদেশি জাতের মহিষ রয়েছে। এই দুই টির উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৬ , ৬ ফুট আর এর ওজন একএকটির প্রায় ১ টন করে । এই দুই টি দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মহিষ ।
খামারের মালিক রহিজ মিয়ি বলেন, আমি অনেকগুলো মহিষ সংগ্রহ করেছি। তারমধ্যে দুইটি বড় মহিষ রয়েছে তার জাতের নাম নেলি রাব্বি , একটির নাম রাজা , আরেকটির নাম বাদশা ।
তিনি আরো বলেন, আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন খামারে মহিষের বাড়তি যত্ন চলছে। শ্রমিকরা পালনে বেশি বেশি পরিচর্যা করছে। আশা করছি আগামী ঈদে আমার খামার থেকে হাটে অনেকগুলো মহিষ উঠবে।
এগুলো ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো ইনশাআল্লাহ ।
এবং আমাদের খামারের মহিষের গোবর এলাকার কৃষকদের কাছে বিক্রি করছি। এতে কৃষকরা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে ভাল ফলন পাচ্ছেন। আর আমাদেরও বাড়তি আয় হচ্ছে।
সালাম ফকির বলেন, আমাদের এলাকায় গরু-ছাগলের খামার বেশি থাকলেও মহিষের খামার তুলনামূলক কম। খামারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির মিয়া ও রহিজ মিয়া মহিষের খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তার খামারে ২৬ টি মহিষ আগামী কোরবানীর ঈদের জন্য মোটাতাজা করছেন। আমরা তাকে খামারের পরিধি আরো বড় করতে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।