কোয়েল পাখির খামার একটি লাভজনক ব্যবসা, কোয়েলের ডিম ও মাংস পুষ্টিকর এবং এর চাহিদা রয়েছে, যা বিক্রি করে ভালো আয় করা সম্ভব তাই,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন সাহারপাড় গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আলী হোসেন কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী, তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিদেশের বাড়িতে কাটিয়েছেন, অবশেষে তার নিজ বাড়িতে ছাদে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলে স্বয়ংসম্পূর্ণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিদেশের বাড়িতে কাটিয়েএশে , দেশের বাড়িতে আয়ের পথ না থাকাই তিনি কোয়েল পাখি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশেষে সফল হয়েছেন আলী হোসেন।
বর্তমানে আলি হোসেনর খামারে ২০০০ কোয়েল পাখি রয়েছে । প্রতিদিন তার খামার থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ কোয়েল পাখির
ডিম সংগ্রহ করে বাজারজাত করে, বিভিন্ন বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করে আসছেন তিনি ।
আর এই খামারের ২০০০ কোয়েল পাখির
পরিচর্যা করছেন আলি হোসেন নিজেই। যার ফলে তার তৈরি হয়েছে একটি আয়ের উৎস।
আলি হোসেন জানান তার খামার দেয়ার পরে প্রচন্ড গরমের কারণে তার বেশ কিছু পাখি মারা যায় । আর পুরুষ কোয়েল পাখি কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন, কারণ পুরুষ কোয়েল পাখিতে তেমন লাভ নেই, তার ইচ্ছে খামারে আরো ১ হাজার কোয়েল পাখি তুলে খামার বৃদ্ধি করবেন বলে জানান তিনি ।
তিনি বলেন নবীনগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার কর্তৃক নিয়মিত পরামর্শ পেলে
আমার খামারের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবো।
ডাঃ জসিম চৌধুরী বলেন বিদেশ না পাড়ি দিয়ে , চাকরির পেছনে না ছুটে , বেকার বসে না থেকে,
বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে যে কোন খামার দিলেই তৈরি হবে একটি আয়ের উৎস ও কোয়েল পাখির খামার করে সমাজে বেকারত্ব দূর করা যাবে ।
প্রতিদিন খামারে পাখির জন্য ২ বেলায় খাবার দেয়া হয়। লেয়ার ফিড ও সোনালি স্টেটার ফিড খাবার দেয়া হয় পাখিগুলোকে।
এই খামারে কাজ করে নিজে চলতে পারছেন এবং সংসারও ভালোভাবে চালাতে পারছেন বলে জানান, খামারে কর্মরত আলী হোসেন। তিনি বলেন, এখানে পাখিগুলো লালন-পালন করতে আমার অনেক আনন্দ লাগে। আমি ভবিষ্যতের এই কোয়েল পাখির খামাটি বৃদ্ধি করতে চাই ।