ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার চাকরি করেন দেশে,কিন্তু দির্ঘদিন যাবৎ তিনি থাকেন থাকেন সুদূর ফ্রান্সে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার কাগজেপত্রে চাকরি দেশে করলেও তিনি দির্ঘদিন যাবৎ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, উপজেলার বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৪৫৫ জন। ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে ২৯ জানুয়ারি ২০১২ সালে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করা সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার নিজের প্রভাব দেখিয়ে বছরের বেশির ভাগ সময়ে স্বামীর সাথে থাকেন ফান্সে। তিনি ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি ব্যক্তিগত বিশেষ অসুবিধার কারণ দেখিয়ে ৫ দিনের ছুটি নেয়ার পর পুনরায় একই মাসের ৮তারিখ বহিঃ বাংলাদেশ ভ্রমণের ছুটি নিয়ে ৩০ দিনের জন্য ফ্রান্স চলে যায়।
উল্লেখিত ছুটি শেষ হলে ফ্রান্স থেকে পূনরায় দূতাবাসের মাধ্যমে ৭ মে পর্যন্ত ৩ মাসের ছুটি বর্ধিত করা হলেও কিন্তু ৮ মে ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে অনুপস্থিত দেখা যায় ।এছাড়া ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ২০২১ সালে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার ছুটি কৌশলে মঞ্জুর করে নিয়েছে জানা যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় ও সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার প্রবাসে থাকায় ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়মিত পাঠ্যদানে ব্যঘাত ঘটছে।এতে করে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত ভট্টাচার্য জানান, শিক্ষক স্বল্পতায় বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠ্যদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও ছুটি সকলের অধিকার কিন্তু প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় এমনিতেই শিক্ষকের ঘাটতি তার উপর সহকারী শিক্ষিকার দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয় সামলাতে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানান, প্রথমে সে ১মাসের ছুটি নিয়ে প্রবাসে গিয়ে পূনরায় ৩ মাসের ছুটি নিয়েছে ৭ মে পর্যন্ত। এরপর তার কোন বৈধ ছুটি কিম্বা লিখিত ছুটির আবেদন চাওয়ার মত আর সুযোগ নেই। এমনকি তার কোন জমা ছুটিও নেই। এখন থেকে সে একদিন অনুপস্থিত থাকলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার মাধ্যমে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।