অবৈধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে শতবর্ষী পুকুর ভরাট, এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে শত বৎসরের প্রাচীন পুকুর ভরাট করছে একটি ভূমিদস্যু মহল। গেল প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে ৬০ শতাংশ পুকুরটির অর্ধেকের চেয়েও বেশী ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে করে প্রকৃতি ও পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়েছে। এই অপতৎপরতা বন্ধে গত ২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোঃ জয়নাল আবেদীন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর পোষ্ট অফিস পাড়ার পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শত বছরের প্রাচীন একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরে গ্রামের জনসাধারণ অজু, গোসলসহ নিত্যদিনের কাজ সেড়ে থাকেন। সম্প্রতি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে কবির হোসেন, জাকির হোসেন ও মিল্লাত হোসেন অসাধু একটি মহলকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে রাতের অন্ধকারে প্রাচীন পুকুরটি ভরাট করছে। সে সাথে তারা নিয়ম বহির্র্ভূতভাবে তিতাস নদীর পাড় থেকে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটছে এবং তা দিয়ে পুকুরটি ভরাটের কাজ চলছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, পুকুরটিতে একাধিক ব্যক্তি মালিকানা রয়েছে। তবে চাইলেইত কেউ পুকুর ভরাট করতে পারেনা। ওই প্রভাবশালী মহলটি কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে বিনা অনুমতিতে পুকুরটি ভরাট করছে। এজন্য মহলটি তিতাস নদীর পাড় থেকে সরকারি খাস ভূমি কাটছে। যা সম্পূর্ণ বে আইনি। তারা পুকুরটিকে স্বরুপে ফেরাতে সরকারসহ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে, সোমবার বিকেলে শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব শঙ্কর ভৌমিক ও সরাইল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে তিতাস নদীর পাড়ের মাটি কাটা এবং পুকুর ভরাট কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানে মাটি কাটা ও পুকুর ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যদি পরবর্তীতে কেউ আবারো এ ধরণের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুকুরটি স্বরুপে ফেরানো হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী উদ্যোগ গ্রহন করব। ব্যারিস্টার সায়েম। সম্মানিত উপদেষ্টা।